চাকরি করবো নাকি ফ্রিল্যান্সিং ??
চাকরি করবো নাকি ফ্রিল্যান্সিং ??
ফ্রিল্যান্সিং এবং চাকরির সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো জানি।
job or freelancing |
কদিন ধরলো " তুমি নাকি কম্পিউটার টিপে টাকা নিয়ে আসো" আমি বললাম কাকা আমি কাজ শিখি আর টুকটাক কাজ করি। ওনাকে একটু বোঝানোর চেষ্টা করলাম, কিন্তু সব শেষে উনি যেটা বললো উনার ছেলে কম্পিউটার খুব ভালো জানে তাকে কম্পিউটার থেকে টাকা কামানো শিখিয়ে দিতে হবে। তো আমি তাকে একদিন ডাকলাম। ডেকে তার কথা বার্তা শুনে বুঝলাম সে কম্পিউটার এ গেম খেলে সারাদিন। আর গান চালায়।
তো তাকে আমি বোঝানোর চেষ্টা করলাম ফ্রিল্যান্সিং এতো সহজ না অনেক চেষ্টা আর পরিশ্রম থাকতে হয়। সব শুনে মিলে সে গেলো। পরের দিন ই শুনি আমার নামে কয়েক জন কি যে বলা বলি করছে। পরে জানতে পারলাম, সেই ছেলেটা সবাইকে বলেছে আমি নাকি কিছু পারি না আর আমার টাকা নাকি কোথা থেকে আসে কেউ জানে না। আর সেই কাকা ও আমাকে দেখে এমন ভাবে কথা বললো আমাকে রাগ করলো যেনো তার ছেলে সব পারে কিন্তু আমিই নাকি কি সব বলছি ও বুঝতে পারে নি। ও বুঝতে পারে নি সেটাও আমার দোষ। কেমন লাগে বলেন দেখি !!😢
গল্পটা কেনো বললাম একটু পড়ে বলছি। । আজকাল আমরা অনেকেই দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভুগে থাকি যে কোন দিকে যাওয়া উচিত বা ক্যারিয়ার গড়া উচিত। এ ক্ষেত্রে আমাদের আগে ক্যারিয়ার কি সেটা বুঝতে হবে। ধরুন আপনি একটা চাকরি করেন বা ফ্রিল্যান্সিং করেন। এটা আপনার বর্তমান স্ট্যাটাস। আপনি ৫ বছর পরে নিজেকে কোথায় দেখতে চান বা সেভাবে নিজেকে তৈরি করছেন কি না সেটাকে বলে ক্যারিয়ার।
চাকরি কি আমরা সবাই মোটামুটি জানি।
চাকরি বড়ো পরিসরে ধরলে ২ প্রকার, সরকারি আর বেসরকারি।
আর ফ্রিল্যান্সিং বলতে সাধারণত মুক্তপেশা কে বোঝায়। আপনি যে কাজ ই করুন না কেনো সেটা অপনার ইচ্ছা বা সময় অনুযায়ী হচ্ছে বা আপনার কোনো বস নেই। এটাই মূলত ফ্রিল্যান্সিং।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে চাকরি করবো নাকি ফ্রিল্যান্সিং ??
চারিদিকে চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে ইদানিং অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে ঝুঁকে পড়ছেন। ফ্রিল্যান্সিং আসলে কি কোনোই বা করবো কিছু না জেনে চলে আসে। এভাবে যদি আপনিও কিছু না বুঝে চলে আসেন শুধু লোকের কথায় আপনার অবস্থাও হবে আমার এলাকার ওই ছোটো ভাইয়ের মতো। 😐
আর একদিক এ চাকরি হলো একটা শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবন যেখানে নির্দিষ্ট সময়ে আপনার সব কিছু শেষ করতে হবে।
আসুন আমরা আগে ফ্রিল্যান্সিং এবং চাকরির সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো জানি।
চাকুরীর সুবিধা :-
১. সঠিক নিয়মের মধ্যে থাকা যায়।।কারণ আপনি যখন চাকুরী করবেন আপনাকে সময়মতো অফিসে যেতে হবে এবং সব কাজ শেষ করতে হবে।
২. নেটওয়ার্কিং বাড়ে। নেটওয়ার্কিং বলতে বোঝায় চাকুরী ক্ষেত্রে আপনার অনেক মানুষের সাথে কথা হবে পরিচয় হবে। এটা আপনাকে ভবিষ্যতে অনেক ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।
৩. সামাজিক যোগাযোগ এর পরিধি বাড়ে। আপনি যখন চাকুরী করবেন তখন আপনাকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষ এর সাথে সামাজিক ভাবে যোগাযোগ করতে হবে।
৪. নির্দিষ্ট একটি ইনকাম এর গ্যারান্টি থাকে।
ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা:-
১. আপনি নিজেই আপনার মালিক। আপনাকে কেউ বলার মতো নেই বা চাপ দেওয়ার মতো নেই। তবে আপনি একটি কাজ নিয়ে থাকলে তা সময়মতো ই শেষ করা উচিত।
২. একবারে অনেক টাকা ইনকাম করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে একবারে অনেক টাকা কম সময়ের মধ্যে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
৩. অফিসে যাওয়ার ঝামেলা নেই।
৪। নিজের পরিবার কে সময় দেয়া। ফ্রিল্যান্সিং করে নিজের পরিবারকে অনেক বেশি সময় দেওয়া সম্ভব যেটা চাকুরী করে সম্ভব না।
তবে এই দুটি বিষয় যার যার পছন্দ মতো হওয়া উচিত। কারো ফ্রিল্যান্সিং করতে মন চাইতে পারে কারো আবার চাকুরী। দুই জায়গাতেই উন্নতি করার অনেক সুযোগ আছে। ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে আগে কাজ শিখতে হবে। ইদানিং বেশিরভাগ মানুষই কিছু না বুঝে শুধু কয়েকটা কোর্স করে চলে আসে ফ্রিল্যান্সিং করতে।
এটাকে আমি কোর্স ওয়ালার দোষ দেবো না। যিনি কিনছেন তার দোষ দেবো। কারণ আপনাকে ভালো ভাবে শিখতে হবে। গুগল ইউটিউব সার্চ দেন যে কোনো বিষয়ে এত এত জানতে পারবেন যে কোথাও যাওযার প্রয়োজন হবে না। মনে রাখবেন সঠিক দিক নির্দেশনা, পরিশ্রম, ধর্য আপনাকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে পারে।
আজ তাহলে এ পর্যন্তই।
ধন্যবাদ।
ফ্রিল্যান্সিং নাকি চাকরি ?
কোন ক্যারিয়ার আপনার জন্য ভালো হবে?
আপনার মতামত জানাবেন😊
Comments
Post a Comment